নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের নারী ধর্ষণ, নির্যাতন ও সহিংসতার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রাম উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক-এর উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি জেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধনে এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, সুজন, আইনজীবী, পেশাজীবি, সর্বস্তরের জনতা অংশগ্রহণ করেন।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর প্রতি অমানুষিক নির্যাতন ও ধর্ষণের মূল অপরাধীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করতে সক্ষম হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার প্রশাসন ও পুলিশ প্রশানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আয়োজক সংগঠনের প্রতিনিধি শেফালিকা ত্রিপুরা।
সমাপনি বক্তব্যে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, আগামীতে এ ধরনের যে কোন ঘটনার দ্রুততম সময়ে যেন আমরা অপরাধীদের গ্রেফতার দেখতে পাই। আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্না জর্জরিত কন্ঠে নারীনেত্রী আরও বলেন, দেশে যখন নারী ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন এগিয়ে চলছে তখন কেন আমাদের কন্যা শিশু ও মা জাতির উপর এমন পাশবিক নির্যাতন চলবে? অতীতের সব ঘটনার বিচারহীনতায় আজ এইসব ঘটনার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ছাত্র সংগঠক ক্যপ্রু মারমার উপস্থাপনায় আয়োজিত মানববন্ধনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ মঞ্চের অন্যতম সদস্য আবু দাউদ।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্য রাখেন, আলো সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমা, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) প্রতিনিধি এড. নাসির উদ্দীন, দুর্বার নারী নেটওয়ার্ক প্রতিনিধি নমিতা চাকমা, জাবারাং নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস এর প্রতিনিধি রুবেল বিশ্বাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুইচিং থুই মারমা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মংসই মারমা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নক্ষত্র ত্রিপুরা, উইমেন রিসোর্স নেটওয়ার্ক এর জেলা সমন্বয়কারী চিংমেপ্রু মারমা, সুমাইয়া ইয়াসমিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষকরা কারুর আত্মীয় বা দলমতের আদর্শের হতে পারেনা, কোন জাতি বা সম্প্রদায়েরও না। দল, মত, জাতি, গোষ্ঠী রাজনৈতিক পরিচয়ের উর্ধ্বে থেকে প্রত্যেকটা ধর্ষণ ঘটনার মূল দুস্কৃতিকারীদের আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন বক্তারা।